বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে বাঘা উপজেলার ঝিনা দক্ষিণপাড়া মহল্লার আব্দুস সালামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩১) কে আসামি করে বাঘা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে।
এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে শহিদুল ইসলাম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর বাসায় ও বিভিন্ন স্থানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর বাদিনী তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে শহিদুল বাদিনীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এই ঘটনায় ওই ছাত্রী বুধবার বিয়ের দাবিতে শহিদুলের বাড়িতে রাতে গিয়ে শহিদুলকে তার বাড়িতে পায়নি। তখন কলেজ ছাত্রী শহিদুলের পিতা-মাতা ও তার ভাইকে অবগত করে। তারা তাকে মারপিট করে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুলকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। শহিদুলের মা সালেহা বেগম বলেন, তার ছেলে শহিদুল কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না।
বাঘা থানার অফিসার ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রেখেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.